বসন্তের কোকিল

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

সূর্য
  • ৪৯
  • 0
  • ৮১
১.ভূমিকা:
কোন এক ভর দুপুরে তুমি এসেছিলে আমার হৃদয় মন্দিরে। শিরোনামহীন গদ্যের মতো তোমায় কখনো দেখিনি এর আগে। প্রথম দেখাতেই তোমাতে হারিয়েছিলাম। তবুও খাটি বাঙালী প্রেমিকের মতো কিছুই বলা হয়নি তোমাকে। একদিন স্নিগ্ধ বিকেলে আমার সে হাহাকার কেটে যায়। আমার ট্রেনিং সেন্টারে তুমি এলে
: আসতে পারি।
আমার ভেতরে বিদ্যুৎ খেলে যায়। যার জন্যে আমার অন্তহীন প্রতীক্ষা, যার জন্য হৃদয়ের প্রতিটি কপাট খুলে রেখেছি, সে কিনা জানতে চায় ভেতরে আসতে পারে কিনা? শান্ত স্বরে বলি
- এসো।
যথারীতি নিয়ম মেনে পরিচয় পর্ব শেষ হয়।
: আমি এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করলাম। ভাবলাম কম্পিউটারটা শিখে নিলে মন্দ হয়না। অনেকের কাছে আপনার কথা শুনলাম আর বাসার কাছে বলেই চলে এলাম।
- ভাল করেছ।
ওকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে টাইপ করার নিয়ম দেখিয়ে দেই। ও আপন মনে কাজ করতে থাকে। একদিন লক্ষ্য করলাম সে ক্রমাগত একটি নাম লিখে যাচ্ছে "বনি"। ওহ বলা হয়নি ওর সাথে আরো তিন বান্ধবী গীতা, শীলা ও ফেরদৌসী এসেছে একই কোর্স করার জন্য। শীলাটা একটু দুরন্ত প্রকৃতির। ওর মুখে কিছুই আটকায়না। ওর কাছ থেকেই জানা, বনি নামের ফ্রান্স প্রবাসী ছেলেটাকে ও পছন্দ করে। দুবছর পর ফিরে এলে বিয়ে করবে।

পুরো আকাশটা আমার মাথায় ভেঙ্গে পরে। আমি কিছু ভাবতে পারিনা, শুধু এটুকু বুঝতে পারি ওকে হারালে আমার আর কিছুই থাকবেনা। এমনি করে একটি মাস চলে যায়। ভুলে যাই ওর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
- কি ব্যাপার এখন যে আর বনির নাম লিখছনা?
: আপনি দেখে ফেলেছেন তো তাই লজ্জা করে।
- তুমি কি ওকে অনেক ভালবাসো?
: হ্যাঁ।
- আমার কিন্তু মনে হয়না। কাউকে ভালবাসলে সেটা এভাবে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে হয়না। ভেতরে সবসময় সে অবস্থান করে।
ও টাইপ করে চলে "বনি আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি"। বাক্যটা লিখার পর ও অবাক হয়ে যায়, ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে মনিটরের দিকে। মনে হয় কেঁদেই ফেলবে। আমি ব্যাপারটা বোঝার জন্য ওর মনিটরে তাকাই সেখানে লেখা "সূর্য আমি তোমাকে ভালবাসি" আমার হাসি পায়, ফিরে তাকাই শীলার দিকে। ওর চোখে দুষ্টমীর হাসি। বুঝতে পারি অটোকারেক্ট অপশনে শীলা "বনি"-র রিপ্লেস হিসাবে "সূর্য" বসিয়ে দিয়েছে। আমার ডাকনাম "সূর্য"। তবু আমি ওকে ব্যাপারটা বুঝালাম না। হোকনা মিথ্যে তবু লেখাটা দেখতে ভালো লাগছে।

: শীলা দেখতো এমন হচ্ছে কেন?
= কি হয়েছে?
: আমার লেখাগুলো বদলে যাচ্ছে।
= দেখি? ওমা একি? কি জানি হয়ত সূর্যদাকে ভালবেসে ফেলেছিস।
: দেখ ভালো হবেনা কিন্তু।

আমি পাশের কামড়া থেকে ওদের খুনসুটি শুনি আর হাসি। পরদিন শীলা জানালো ওরা ঘুরতে যাবে। পূর্বাচল হাউজিং প্রকল্পের কাছে একটা নতুন পার্ক হয়েছে "অগ্রপথিক পল্লী সমিতি (অপস)" এর পরিচালনায়। যায়গাটা নাকি খুব সুন্দর। ওরা আমাকেও যেতে বলছে। আমি হ্যাঁ-না কিছুই বললাম না।


২. পরের দিন:
ওরা ঠিক সময়মতো চলে এলো। কিন্তু একা আসেনি, তিন বান্ধবীর সাথেই ছেলে বন্ধু, শুধু ও একা। ঠিক হলো ডেমরা বাজার থেকে রিকসায় যাবে। এমনিতে অনেক দূরের পথ, কিন্তু এই বসন্তে ডানে হলদে চাদরে মোড়ানো সর্ষে ক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে চলা শীতলক্ষ্যা নদীর হিমেল হাওয়া, বামে ছড়ানো ছিটানো গ্রামের ঘরবাড়িগুলো, সে এক মায়াবী পরিবেশ। তারপর জল চাইতেই বৃষ্টির মতো অবস্থা, তিন বান্ধবীই ওদের ছেলে বন্ধুদের নিয়ে রিকসায় উঠে বসেছে। শুধু আমি আর ও দাড়িয়ে। আমি বললাম,
- চলো আজ আমরা প্রেমিক-প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করি।
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললাম। রিকসায় উঠে বসলাম। রিকসা চলছে, নীরব পিচ ঢালা সরু রাস্তা। মাঝে মাঝে দুএকটা রিকসা, বেবিট্যাক্সি ছাড়া সুনসানই বলা যায়।

কোন এক ভুলের মুহূর্তে ওর হাত আমার হাতে এসেছিল। এসেছিল বললে ভুল হবে, আমি নিয়েছিলাম ওর হাত আমার হাতে ও প্রতিবাদ করেনি। আমার জীবনে আলো ফিরে এলো। আমি আবার স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। ঠিকইতো অনেকদিন স্বপ্ন দেখিনি। তুমি আমার স্বপ্ন হয়ে এলে আমার জীবনের সমস্ত গ্লানি ধু'য়ে মুছে দিতে। তুমি এলে, এলে নববরষার একরাশ জলধারা হয়ে। আমি আবার বৃষ্টিতে ভিজলাম, ভিজলাম অবিরাম আনন্দধারায়। আমরা হারিয়ে যেতে লাগলাম আমাদের অজান্তেই।

ফিরে এলাম সন্ধ্যার পর। ওকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসি। ওর নামটা এখনও বলিনি। এটা তো হতে পারেনা একটা গল্পে নায়িকার নাম থাকবেনা? ওর নামটা অজানাই থাকনা। ওর নাম দিলাম "স্বপ্ন"। ওতো আমার স্বপ্নই। স্বপ্নর সাথে প্রতিদিন দেখা হয়, কথা হয়। তবুও যেন অতৃপ্তি থেকে যায়। মুঠোফোনে কথা হয়, ঘুরতে যাই। সেকি ভালো লাগা, ঢাকা শহর চষে বেড়ালাম। আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সবই একাকার। আমরা ভুলে গেলাম আমরা কে, কি আমাদের পরিচয়, আমাদের অন্তরায়, অস্থিরতা। আমাদের বাধা, সীমাবদ্ধতা সবই হারিয়ে গেল উদ্দাম যৌবনের বিশাল জোয়ারে।
- স্বপ্ন চল তোমাকে ভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে দেই।
: কথাটা আমিই তোমাকে বলব ভেবেছিলাম।
স্বপ্নকে ইডেন কলেজে ভর্তি করিয়ে দিই। যে আমি বাসে চড়ার ভয়ে চাকুরী করিনি সেই আমি রুটিন করে প্রতিদিন ওকে নিয়ে কলেজে যাই। সারাদিন কলেজের দুই নম্বর গেটের উল্টোদিকে মাসুমের চায়ের দোকানে বসে থাকি। কলেজ শেষে ওকে নিয়ে বাড়ি ফিরি।
: তুমি সারাদিন বসে থাক আমার কষ্ট হয়।
- আমারতো ভালই লাগে। তুমি ফিরবে, তোমায় নিয়ে একটু হাঁটব, টিএসসিতে বসব, তুমি নিচুস্বরে গান গাইবে, আমি মুগ্ধ হয়ে শুনব। আমার আর কি চাই?
হাটতে হাটতে টিএসসিতে এসে দুটো কফি নিয়ে বসি। ও কফি খাওয়ার ফাকে ফাকে গান গায়
: আজ বসন্তের এই মধুর দিনে, আমি কোকিল হব/ তোমায় আমি নিজের করে, শুধু গান শোনাব...........

দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে ফিরে বছর চলে যায়। ওর বান্ধবীরা সবাই কোর্স শেষ করে চলে গেলেও স্বপ্নর কম্পিউটার শেখা হয়না। স্বপ্ন প্রতিদিন সময় করে আসে। আমরা একদিন হারিয়ে গেলাম স্বপ্নের "মধুচন্দ্রিমা"য়। স্বপ্নর চোখেমুখে পরিতৃপ্তির ছোঁয়া। আমার কথা কি বলব, স্বয়ং মৃত্যুদূত দুয়ারে এসে ডাকলেও কোন অতৃপ্তি আমাকে ছুঁয়ে যেতনা।
এর পর বেশ কিছুদিন স্বপ্নর সাথে আমার দেখা নেই। ওর মুঠোফোন বন্ধ। জানুয়ারির ৫ তারিখ স্বপ্নর জন্মদিন। ওর বন্ধ মুঠোফোনেও একটা কবিতা লিখে পাঠালাম:
স্বপ্ন কেন হয় সাদা-কালো
বলোনা তুমি, আমায় বলো,
ভালো বাসার রঙিন ডালে
সাদা-কালো স্বপ্ন দোলে
পাবো কি সে রঙের দেখা
যেথা ভালবাসার নামটি লেখা?

একদিন একটি ছেলেকে সাথে নিয়ে স্বপ্ন আমার কাছে এলো। পরিচয় করিয়ে দেয়, "এ হলো বনি"। হঠাৎ রিখটার স্কেলে ৮.৯মাত্রা ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামির ভয়াবহতার মতো আমার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল। স্বপ্ন আমার জীবন থেকে দুরে সরে যায়। একদিন শীলা আমাকে ফোন করে -
= হ্যালো সূর্যদা ভালো আছেন?
- হ্যাঁ ভাল, তুমি কেমন আছো?
= আমি ভালো। আপনাকে কিছু কথা বলবো, শুনবেন?
- বলো শুনছি।
= আমি জানি আপনি স্বপ্নকে অনেক ভালবাসেন সেও আপনাকে ভালবাসে। আমি ওর ছোটবেলার বন্ধু, কিন্তু আমি চাইনা আপনি এর বেশি কিছু আশা করেন। আপনি অনেক কষ্ট পাবেন....
আমি ফোনটা কেটে দেই। স্বপ্ন এমন একটা পরিবেশে চলে গেল যা আমার মোটেও ভাল লাগতনা। একটা সময় ওর সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল। আমি নিয়মিত সিগারেট খেতামনা কিন্তু সেটা আর হলোনা। প্রচণ্ড কষ্টে-চিন্তায় আমি পাগল হয়ে গেলাম। কতভাবে স্বপ্নর সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছি, পারিনি। ও আর এমনকি দুরে আছে, চাইলেই ওর কাছে যাওয়া যেত। যাইনি, যদি আমার কষ্টের আগুনে ওর সংসার পুড়ে যায় সেই ভয়ে। স্বপ্ন বনিকে বিয়ে করেছে ।


৩. তিন মাস পর:
ভয়ার্ত ঝড়ো রাত শেষে যেমন স্নিগ্ধ ভোরের আলো ফোটে, তেমনিভাবে স্বপ্নও ফিরে এলো আমার কাছে। বললো মধুরতম সে কথা "ভালবাসি তোমায়"। আমার জীবনের সমস্ত জীর্ণতা কেটে গেল। স্বপ্ন'র সাথে আমার যোগাযোগ হয়ে উঠল আয়নায় নিজেকে দেখার মতো। আমরা আবার হারালাম উন্মাদনায়। ওর প্রতিটি কষ্ট আমাকে ছুঁয়ে যেত। আমি কষ্ট ভুলে থাকি, ভাবি স্বপ্নতো আছে আমার কাছে তাইবা কম কিসে। আমি সব ভুলে যাই। কিন্তু ভালোবাসা মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে। ওর সাথে আমার প্রায়ই ঝগড়া হতে লাগলো। মুঠোফোনে কারো সাথে হেসে কথা বললে আমার গায়ে জ্বালা ধরে যেত।
- কার সাথে কথা বললে?
: আমার বান্ধবী শীলার সাথে। কেন, তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছ?
- সন্দেহ করব কেন? তুমি কেমন যেন বদলে যাচ্ছ।
আমাদের কথা বেশিদূর এগোয়না। আমি স্বপ্নকে বলতে পারিনা, "আমি দিব্যি করে বলছি, এ সন্দেহ নয়, শুধুই হৃদয়ের হাহাকার। দুঃখে-কষ্টে আমরাতো আমাদের মাঝেই হাসবো, কাঁদবো। তুমি খুব সহজেই কাউকে আপন করে নিতে পারো কিন্তু ধরে রাখতে পারোনা। তুমি সবাইকে একই রকমভাবে দেখ, কাউকে একটু উচ্চতায় স্থান দিতে পারোনা। কারো জন্য আলাদা বেদী নেই তোমার অন্তরের মণিকোঠায়।"
এমনি ভাবে চলে যেতে লাগলো আমাদের দিন।


৪.নয় মাস পর:
স্বপ্ন'র কোল আলো করে এলো আমাদের "পুষ্প"। দেখতে ঠিক মায়ের মতো, চোখ ফেরানো যায়না।
: এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ? নজর লাগবেতো।
- আমি আমার মেয়ের দিকে তাকাবোনা? তাকালে নজর লাগবে? লাগুক নজর। এক ঝটকায় মেয়েটাকে কোলে তুলে নেই। আমার বলতে ইচ্ছে করে, পৃথিবী দেখো আমি বাবা হয়েছি।
: আরে নামাও পরে যাবেতো।

একটু একটু করে আমার মেয়েটা বেড়ে ওঠে। ওর মা'র চেয়ে আমার সান্নিধ্যই ওর বেশি পছন্দ। সবাই বলে "বাপ সোহাগী মেয়ে" মেয়েটা বোঝে কিনা জানিনা, কিন্তু একথা শোনামাত্রই হেসে ওঠে। মেয়েটার বয়স দু'বছর হলো। মেয়েটাকে নিয়ে এতটাই মগ্ন ছিলাম ওর মা কখন কোথায় যেত, কখন ফিরতো জানা হতোনা । এদিকে স্বপ্ন খুব বেশী ওর মায়ের বাড়ী থাকা শুরু করলো। মাঝে মাঝে ২-৩মাস পরে আসতো আবার কাউকে কিছু না বলে চলেও যেত। আমি ছোট একটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের আয়ে সংসার চালাই। মাঝে মাঝে স্বপ্ন টাকা চাইতো কিন্তু কখনো জোর করে বলেনি দিতেই হবে। সংসারটা ভালই কেটে যাচ্ছিল।

৫.বসন্তের শেষ দিন:
আমি স্বপ্ন ও পুষ্পের জন্য লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, কাঁচের চুড়ি ও কিছু গাঁদা ফলের মালা কিনে বাসায় ফিরি। স্বপ্ন বাসায় নেই, মায়ের বাড়িতে।
-হ্যালো স্বপ্ন কাল একটু ঢাকা যাব ভেবেছিলাম। মেয়েটাকে নিয়ে যাব বটতলায়, ঢাকা য়ুনিভার্সিটিতে, চলে এসোনা।
: আমার শরীরটা ভালো নেই। আমার যাওয়া হবেনা।
- মেয়েটা বড় আশা করে আছে।
: আরে বাবা আমি যেতে পারবোনা।
ওকে আর কিছু বলা হয়না। জানি বলে লাভও নেই।

আজ হঠাৎ মনে হলো তুমি আমায় ভাবছনা। মনে হলো আমি ক্রমাগত তোমার কাছ থেকে দুরে সরে যাচ্ছি, হয়তো তুমি হারিয়ে যাচ্ছ আমার কাছ থেকে। তোমাকে দ্বিতীয়বার হারাবার শক্তি নেই আমার। বয়স হয়েছেনা বলো? খাওয়া ঘুম ভুলে যাই। আমার রাত কাটে তোমার ভাবনায়। হয়তো তোমার কাছে এ আদিখ্যেতা মনে হবে কিন্তু এটাই পরাবাস্তবতা। কোন দিন আমাকে সেরকম ভাল যদি বাসতে পারো যেরকম আমি বাসি তোমায়, সেদিন বুঝবে আমার হৃদয়ের কান্না। ছাই পাশ ভাবতে ভাবতে নির্ঘুম রাত কেটে যায়।


৬.নববর্ষ :
সকালে মা আমার মেয়েটাকে নিয়ে আমার ঘরে আসে-
বাবা পুষ্পকে নিয়ে একটু ঘুরে আয়, সেই সূর্য ওঠার আগে থেকেই সেজে বসে আছে।
পুষ্প: বাবা আমাতে নিয়ে মেলা দাবেনা?
- যাবরে মা যাব।
আমি তৈরি হয়ে পুষ্পকে নিয়ে বেরিয়ে যাই। মৎস্য ভবনের সামনে গাড়ী থেকে নেমে যেতে হয়। পুষ্পকে কাঁধে তুলে নিয়ে হাটতে থাকি চারুকলা হয়ে টিএসসির দিকে, উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা। সেখানে খেলাঘরের শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠান হয়। রাজু ভাস্কর্যের সামনে এলে পুষ্প বলল
বাবা দেথ ঐ দে মা।
আমি এদিক-সেদিক খুঁজি আর ভাবি স্বপ্ন এখানে কোত্থেকে আসবে ? তবুও খুঁজি। পকেট থেকে মুঠোফোনটা বের করে স্বপ্নদের বাড়ীতে ফোন করি, স্বপ্নর মা ফোন ধরে
: হ্যালো কে?
- মা আমি সূর্য। স্বপ্ন কই?
: স্বপ্নতো বাবা সেই ভোর বেলাতেই বেড়িয়ে গেছে .....
আমার আর কথা শোনা হয়না, স্বপ্ন একটা ছেলের হাত ধরে খুব ঘনিষ্ঠভাবে রাজু ভাস্কর্যের ওপাশ দিয়ে হেটে চলে যায়। আমার মনে পরে যায় একদিন আমাকেও এভাবে ধরে হেঁটেছে কত পথ।
দুর থেকে ভেসে আসছে "এসো নীপবনে, ছায়া বীথী তলে..........................

৭.সমাপ্তি:
পুষ্পকে কাঁধে নিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী শহীদ রাজুর পদতলে ঠায় দাড়িয়ে থাকি।
ক্রমাগত আমার মাথার ভেতর বেজে চলে "আজ বসন্তের এই মধুর দিনে, আমি কোকিল হব/ তোমায় আমি নিজের করে, শুধু গান শোনাব...........
মনে পরে গতকাল বসন্ত শেষ হয়ে গেছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য @সিদ্দিক আবারও হা হা হা হা
সিদ্দিক আপণি অনেক ভাল লিখেন । চালিয়ে যান
সূর্য @Mst. Irin Hoque আরো ভালো লেখার (অপ)চেষ্টায় হয়তো লিপ্ত থাকবো ঝাড়ুপেটা (বউয়ের) না হওয়া পর্যন্ত। হা হা হা হা হা
সূর্য সোহেল ০০৭ বন্ধু তোমার মন্তব্য পড়ে আবারও লেখাটা পড়লাম। হা হা হা অসংগতিটা বের করতে ব্যর্থ হলাম। আসলেই আমি ব্যর্থ।
সূর্য রওশন জানান ধন্যবাদ লেখাটায় আবার ফিরে আসায়। দুবারই যে তোমার মনে হয়েছে জীবন থেকে নেয়া, এখানেই মনে হচ্ছে লেখাটা স্বার্থক।
রওশন জাহান আবার পড়লাম. মনে হলো চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যাচ্ছে স্বপ্নর দু:সপ্ন .আপনার লেখা পড়ে মনে হলো ঠিক যেন জীবন থেকে নেয়া.
Mst. Irin Hoque ভাল লেগেছে। তবে আরো ভাল লেখা প্রত্যাশা করেিছলাম
সিদ্দিক অনেক ভালো লাগলো।
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) সাইফুল ভাইয়া আপনার লেখার হাত ভাল। আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের বর্তমান অশ্লিলতার বিরুদ্ধে একটা উপন্যাস উপহার দিবেন, যা পড়ে সকলেই উপকৃত হয়।
সোহেল007 কিছু অসংগতি থাকলেও ভাল লেগেছে। এভাবে লিখতে থাকলে বাক্য বুননে আরও পটু হয়ে যাবে।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪